সুন্দরবন এলাকার সব মানুষকে একটা দাবিতেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে – সুন্দরবনে পাকা নদীবাঁধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থ দিতে হবে। রাজ্য সরকারকে স্বচ্ছতার সাথে এই মেরামতের কাজ করতে হবে।
সুন্দরবন এলাকার সব মানুষকে একটা দাবিতেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে – সুন্দরবনে পাকা নদীবাঁধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থ দিতে হবে। রাজ্য সরকারকে স্বচ্ছতার সাথে এই মেরামতের কাজ করতে হবে।
২১ মে ২০২১ (৫৮ বর্ষ ৪০ সংখ্যা) থেকে ‘দেশহিতৈষী’ মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। কিন্তু পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ যথারীতি প্রকাশিত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘দেশহিতৈষী’ মুদ্রিত আকারেও নিয়মিত প্রকাশিত হবে
আরও একবার প্রমান হল আগ্রাসী দক্ষিনপন্থার রাজনীতি যতই কৌশল নিক, একজোট হওয়া মানুষ চাইলে জনগণের স্বার্থরক্ষা হবেই, জনগণকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না।
এখন করােনা মহামারি মােকাবিলাই প্রধান কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা দেশের জনগণকে এক ভয়ংকর বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। বিজেপি-র মনে রাখা উচিত সদ্য রাজ্যের মানুষ যে তাঁদের সরকারে চায় না, স্পষ্টভাবে সেই রায় দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীরও মনে রাখা উচিত যে এই রায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের পক্ষে ইতিবাচক রায় নয়। দুর্নীতির সঙ্গে আপােষ করে, দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-র মতাে ভয়ংকর শক্তিকে যে মােকাবিলা করা যায় না এই শিক্ষা তৃণমূল কংগ্রেসেরও গ্রহণ করা উচিত।
২০২০ সালে লকডাউনের নিষ্ঠুর ও মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা সকলের হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের জন্য আবার লকডাউনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে আর্থিক ও চিকিৎসাগত সহায়তা দানের ঘোষণারও প্রয়োজন ছিল। কর্মহীনতা, জীবিকা ও কর্মস্থান থেকে ছাঁটাই এখন মারাত্মক অবস্থায়; আরও শোচনীয় অবস্থার দিকে তা যাচ্ছে। এ সময়ে কর্মচ্যুত ও কর্মহীনদের মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং দৈনিক পাঁচ কেজি করে চাল-গম দেবার অত্যন্ত জরুরি দাবি পূরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও এ জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার দাবি জানাতে হবে।
সিপিএম-র নিশ্চয় দুর্বলতা আছে, সাংগঠনিক ও কৌশলগত ত্রুটিও আছে। নির্বাচনী পরাজয়ে তার মুখ্য দায়ও আছে। কিন্তু সার্বিক ভাবে সেই সমস্যার বিশ্লেষণ করা, সমাধান খোঁজা এবং প্রয়োগের কাজ ধারাবাহিক ও জটিল। আপনি যদি বামপন্থীদের নির্বাচনী পরাজয়ের সমব্যথী হন তাহলে নির্বাচনী পরাজয়ের পর সমস্যা গুলো সিপিএম নেতৃত্বের বা সদস্যদের উপর চাপিয়ে না দিয়ে বরং আসুন সেই ধারাবাহিক ও জটিল প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। দয়া করে ফেসবুকে কিম্বা মিডিয়াতে টেনিদা সেজে হতাশার চাষ করবেন না।
খিদের মুখে বেড়ে দেওয়া একথালা ভাত যতই খিদে পাক না কেন গ্রাস গ্রাস করেই খেতে হবে, কিন্তু খিদে মেটাতে পুরো থালার ভাতটাই শেষ করতে হবে – মাও সে তুং’এর শিক্ষা। মার্কস চর্চাও ঐ সম্পূর্ণতার অভ্যাস ব্যাতিত সাফল্য দেবে না। লক্ষ্যে পোঁছাতে হলে সম্যক চর্চার পরিশ্রমসাধ্য পথই বেছে নিতে হয় – মার্কস নিজেই তাই করে গেছেন সারাজীবন ধরে। মতামত নির্মাণ – প্রতি মতামত নির্মাণ এবং সেই দুইয়ের যথাযথ সংশ্লেষে সিদ্ধান্ত গ্রহন, দ্বন্দ্বমূলক এবং ঐতিহাসিক বস্তুবাদের সার কথাটি ভুললে চলে না।
নাজিম হিকমতের লেখা কয়েকটা শব্দ অনেক কিছুই শিখিয়ে দেয়।”জেলে এলাম সেই কবে,তারপর দশবার সূর্য্যকে প্রদক্ষিণ করেছে পৃথিবী।পৃথিবীকে যদি বলো, সে বলবেকিছুই নয়, অনুমাত্র কাল। আমি বলবো – আমার জীবনের দশটা বছর। যে বছর জেলে এলাম একটা পেন্সিল ছিলো,লিখে লিখে ক্ষইয়ে ফেলতে এক সপ্তাহও লাগেনি।পেন্সিলকে জিগ্যেস করলে সে বলবে গোটা একটা জীবন।আমি বলব, এ আর এমনকি, একটা মাত্র সপ্তাহ।”
বর্তমানে কোভিড মহামারী মোকাবিলা করতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার দাবি উত্থাপন করার সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্ত মোর্চার সমস্ত শরিক দলকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে।